আজ বৃহস্পতিবার, ২০শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বৈশাখে পাঞ্জাবি ও শাড়িতেই আগ্রহ তরুণ-তরুণীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। তাই এ দিনটিকে নিয়ে নানা পরিকল্পনা থাকে বাঙালিদের। আর এ পরিকল্পনা হচ্ছে পোশাককে ঘিরে। পুরুষদের পাঞ্জাবি এবং বাঙালি নারীদের শাড়ির প্রতি ঝোঁক থাকে এ উৎসবে। এ উৎসবকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জের অভিজাত বিপণি থেকে শুরু করে মার্কেটগুলো এবং ফুটপাতেও চলছে এখন বেচাকেনার ধুম। বৈশাখকে ঘিরে বিভিন্ন দোকানে নতুন করে হয়েছে বিনিয়োগও। বিভিন্ন পোশাকের ডিজাইনেও দেওয়া হয়েছে বৈশাখের রঙ। বেচাকেনা জমিয়ে তুলতে বিভিন্ন প্যাকেজও দেওয়া হয়েছে বাঙালীর এ প্রানের এ উৎসবকে ঘিরে।
বৈশাখে নগরীর ডিআইটি, কালীরবাজারে ফ্রেন্ডস মার্কেট ও চাষাড়ার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, বৈশাখ নিয়ে নানা অফার ও আয়োজন নিয়ে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছে বিক্রেতারা। বৈশাখি কেনাবেচায় ক্রেতাদের মধ্যে তরুণীদের আগ্রহ শাড়ি, থ্রি-পিস এবং তরুণদের আগ্রহ পাঞ্জাবি নিয়ে। এছাড়া ছো ছোট সোনামনিদের জন্য পাওয়া যাচ্ছে হরেক রকমের বাহারি পোষাক।
এ প্রসঙ্গে ডিআইটি এলাকার ব্যাবসায়ী মোহাম্মদ সোহাগ বলেন, দুই ঈদের পর নববর্ষকে ঘিরে এখন ক্রেতাদের দারুণ আগ্রহ। তাই আমরা এ উৎসবে নানা আয়োজন রেখেছি। এবার আমাদের রয়েছে বৈশাখী থ্রি পিস ও শাড়ি। আবার পরিবারের সবার বৈশাখ উদযাপনের জন্য এবার থাকছে ফ্যামেলি বৈশাখ। যেখানে পরিবারের সবার জন্যও রয়েছে ম্যাচিং করা জামা-কাপড়।
শহরের বিভিন্ন দোকান ও মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, পাঞ্জাবির দাম ৫ শ’ থেকে ১৭শ’ টাকা পর্যন্ত। আবার শাড়ির দাম এক হাজার ৫ শ’ টাকা থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা পর্যন্ত।
আড়ংয়ে ছেলেদের জন্য রয়েছে পাঞ্জাবি এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত আর শাড়ি ও সালোয়ার কামিজ রয়েছে আড়াই হাজার থেকে চার হাজার টাকার মধ্যে।
কালীরবাজারের পপি এন্টারপ্রাইজ নামক দোকানের মালিক অখিল কুমার সাহা দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, প্রতি বছরের তুলনায় এবার বৈশাখে জামা-কাপড়ের দাম তেমন বাড়েনি বলে জানান তিনি। শুধু ইন্ডিয়ান কাপড়ের দাম বেশি কারন এটাতে ভ্যাট দিতে হয় এছাড়া দেশি কাপড়-চোপরের দাম নরমাল। এই বছর জামা-কাপড়ের দাম অনেক কম।তাই ক্রেতারাও স্বস্তিতে কেনাকাটা করছে। তাই এবার বৈশাখে বেচাকেনাও অনেক ভালো।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ